সঠিক পরিমাণে খাবার না খাওয়া এবং দেহের পরিমিত ভিটামিনের চাহিদা পূরণ না হওয়ার কারণে শরীরে দেখা দেয় ভিটামিনের অভাব। স্বাদের কথা ভেবে আমরা আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে নানা ধরণের ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দেই, যার প্রতিফল হিসেবে শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয় না এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যার কারণে আমরা ভুগি নানা ধরণের রোগে। লক্ষণ বোঝা গেলে একটু হলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব এই ভিটামিনের চাহিদা কিন্তু যদি লক্ষণ বোঝা না যায় তাহলে বাড়তেই থাকে সমস্যা। এই সমস্যাগুলো দূর করতে নিচে উল্লেখিত উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারি। খরে মোহরাঃ এটি একটি ভেষজ যা শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে হাড় গঠনে সহায়তা করে, এছাড়াও পুরুষদের শুক্র তারল্য রোধ করে। জিংকঃ আমাদের শরীরের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য জিংক অতি প্রয়োজনীয় একটি মিনারেল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। জিংক মজবুত হাড়ের জন্য জরুরি, এটি চোখের সুরক্ষা দেয় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। আয়রনঃ আয়রন বা লৌহ আমরা বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে পেতে পারি। আয়রন আমাদের শরীরের লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে ভূমিকা রাখে এবং রক্তস্বল্পতা পূরণ করতে সহায়তা করে। ভিটামিন-এঃ ভিটামিন-এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে, মজবুত হাড় এবং দাঁত নিশ্চিত করে। ভিটামিন-এ একটি ফ্যাট যা গর্ভাবস্থায় আপনার বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন হয় এবং হৃদযন্ত্র, কিডনি, ফুসফুস এবং সংবহন, শ্বসন এবং কেন্দ্রীয় নার্ভাস সিস্টেম কে গঠন করে। ভিটামিন-বিঃ ভিটামিন বি আমাদের শরীরের কোষের উন্নয়ন করে। ভিটামিন বি এর মধ্যে আবার ৮ টি ভাগ আছে, যেমন- ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৩ ইত্যাদি। এই সব ভিটামিনগুলোকে একসাথে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলে। শরীরের টিস্যু ফুলে যাওয়া, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, স্নায়ুতন্ত্রের নানা রকম সমস্যা হওয়া, স্মৃতিভ্রংশ বা স্মৃতিবিলোপ, ডিপ্রেশন এসব-সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দেয় ভিটামিন-বি। অনেক সময় গর্ভবতী মহিলারা বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম দেন, যা ঘটে ভিটামিন বি এর ঘাটতি হলে, ভিটামিন-বি স্নায়ুবিক কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং বাচ্চাদের সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। ভিটামিন-সিঃ ভিটামিন সি শরীরের বিকাশ এবং দেহের তন্তুগুলো যেমন দাঁত, মাড়ি, হাড় ও রক্তের নাড়ির ক্ষত সারাতে সহায়তা করে, এটা দেহের পক্ষ নিয়ে ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ভিটামিন-ইঃ কোষ নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে শরীরে চাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা পাওয়া যায় ভিটামিন ই-থেকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন-ই তে ভরপুর খাবার শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন-ই যুক্ত তেলে রয়েছে নানান উপকারীতা এর মধ্যে একটি হল কাটাছেঁড়া ও ব্রণ সারানো। চুলের সুস্বাস্থ্য’র জন্য ভিটামিন-ই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, চুল পড়া, অল্প বয়সে চুল সাদা বা ধূসর হওয়া থেকে বাঁচাতে চাই ভিটামিন-ই। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখতে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো আছে আমাদের হাতের নাগালেই। এই উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একসাথে সেবন করুন আর যদি এগুলো সংগ্রহ করে খেতে ঝামেলা মনে হয়, তবে আপনার নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে আজই সংগ্রহ করুন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ এর ‘‘জেবিএল ভিটাপ্লাস’’। উপরের উল্লেখিত উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসারে তৈরি ‘‘জেবিএল ভিটাপ্লাস’’ দিতে পারে আপনার সুস্থ এবং রোগমুক্ত জীবন। উপাদানঃ প্রতি ট্যাবলেটে আছে- কুশতা খরে মোহরা (Cypraea monita calcined)…………………………১২৫ মিলি গ্রাম। কুশতা জিংক শোধিত (Zinc sulphate)……………………………….৪০ মিলি গ্রাম। কুশতা ফওলাদ (Ferrous sulphate calcined)………………………...৩০ মিলি গ্রাম। ভিটামিন এ (Vitamin-A)…………………………………………….১.৫০ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি১ (Vitamin-B)……………………………………………১.৫০ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি২ (Vitamin-B2)………………………………………….১.৭০ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি৬ (Vitamin-B6)………………………………………….২.০০ মিলি গ্রাম। ভিটামিন সি (Vitamin-C)……………………………………………..৬০.০০ মিলি গ্রাম। ভিটামিন ই (Vitamin-E)………………………………………………১৫.০০ মিলি গ্রাম। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। নির্দেশনাঃ সাধারণ দূর্বলতা, স্নায়ুবিক দূর্বলতা, মানসিক অবসাদ, দ্রুত বক্ষস্পন্দন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের অভাবজনিত রোগ সমূহ, অসুস্থতা থেকে আরোগ্য পরবর্তী অবস্থা, সার্জারী পরবর্তী অবস্থা ও গর্ভকালীন অবস্থায় কার্যকর। সেবনবিধিঃ প্রাপ্ত বয়স্ক ও ৬ বছরের বেশি শিশুদের জন্য দৈনিক ১ টি ট্যাবলেট অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। পরিবেশনাঃ প্রতি পটে ৩০ টি করে ট্যাবলেট অথবা প্রতি স্ট্রিপে ১০ টি করে ট্যাবলেট। প্রস্তুতকারকঃ জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ।