কারো সাথে দেখা হবার পর শুরুতেই আমরা যেই প্রশ্নটা করি বা যেই প্রশ্নটা শুনি তা হল-কেমন আছেন? এর প্রত্যুত্তরে আমরা শুনতে চাই বা বলতে চাই-ভালো আছি। কিন্তু আসলেও কি আমরা ভালো আছি? একটি সুস্থ, সুন্দর জীবনের জন্য শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা আমাদের একান্ত কাম্য। কিন্তু আমরা কি শারীরিক এবং মানসিক দিক দিয়ে পূর্ণাঙ্গ ভাবে সুস্থ? আমরা প্রায়ই শারীরিক দূর্বলতা, মানসিক অবসাদ, হজমের সমস্যা, রক্তস্বল্পতা, ভিটামিনের অভাবজনিত সমস্যায় ভুগে থাকি। সুস্থ জীবন-যাপন করতে চাইলে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তির উপায় জানতে হবে। জেনে নেয়া যাক সমস্যাগুলো কীভাবে দূর করা যায়। গাজরঃ গাজর অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর, আঁশযুক্ত একটি সবজি যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং বেটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। গাজর খেলে ত্বক সুন্দর থাকে আর দেয় ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা, যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গাজরের ভূমিকা অসীম। আমলকীঃ আমলকী হল আমাদের দেশের সবচাইতে বেশী উপকারী ভেষজ। প্রতিদিন একটি করে আমলকী খাওয়া যায়, যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই ফলটি দামে যেমন সস্তা তেমনি আছে নানাবিধ উপকারীতা। আমলকী চুলের গোড়াকে মজবুত করে, হজমে সাহায্য করে আর লিভারকে সুস্থ রাখে। আমলকী মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ঠিক রাখে, ফলে মানসিক কার্যক্রম ঠিক থাকে। ধনিয়াঃ ধনিয়া হৃদপিন্ডের শক্তি বাড়ায়, পেট ফাঁপা দূর করে। এছাড়াও ধনিয়া বীজে আছে-আয়রন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-সি এবং ফলিক এসিড যা আমাদের অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার নিরাময় করতে পারে। লবঙ্গঃ লবঙ্গ একটি পরিচিত মসলা এর রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণ। লবঙ্গ বায়ুনাশক এবং হজমকারক, লবঙ্গের সুবাস অবসাদ দূর করে এবং শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে। দারচিনিঃ দারচিনি একটি অতি পরিচিত মসলা। দারচিনির বহুমুখী উপকারীতা রয়েছে যা হয়ত অনেকেরই জানা নেই। বহু রোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকা অনেক। অনেকেই জয়েন্টের সমস্যায় ভুগছেন, এক্ষেত্রে দারচিনিকে জয়েন্টের ব্যাথা কমানোর ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। দারচিনি হজমক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং রুচি বাড়ায়। দারচিনি মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ডের শক্তি বৃ্দ্ধির পাশাপাশি স্নায়ু উদ্দীপনায় সাহায্য করে এবং সাধারণ বল বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে, ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে, রক্তস্বল্পতা দূর করতে আর মানসিক অবসাদ কাটাতে যেই উপাদানগুলো প্রয়োজন, সেগুলো আছে আমাদের হাতের নাগালেই। এই উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একসাথে সেবন করুন আর যদি এগুলো সংগ্রহ করে, প্রক্রিয়াজাত করে খেতে ঝামেলা মনে হয়, তবে আপনার নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে আজই সংগ্রহ করুন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ এর ‘‘ভিলাগ্রন’’। উপরের উল্লেখিত উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুযায়ী তৈরি ‘‘ভিলাগ্রন’’ হতে পারে আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার কার্যাকরী সমাধান। উপাদানঃ প্রতি ৫ মিলিতে জলীয় নির্যাস আকারে আছে- গাজর (Borago officinalis)………………২০০ মি.গ্রাঃ। আমলকী (Phyllanthus embilica)………..১০০ মি.গ্রাঃ। ধনিয়া (Coriandrum sativum)…………….৫০ মি.গ্রাঃ। লবঙ্গ (Syzygium aromaticum)……………৫০ মি.গ্রাঃ। দারচিনি (Chinnamomum zeylancium)……৫০ মি.গ্রাঃ। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। নির্দেশনাঃ স্নায়ুবিক দূর্বলতা, সাধারণ দূর্বলতা, মানসিক অবসাদ, পাকস্থলী ও যকৃতের দূর্বলতা, রক্তস্বল্পতা, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি এর অভাব পূরণে সহায়ক। সেবনবিধিঃ প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২-৪ চা চামচ দিনে ২ বার। অপ্রাপ্ত বয়স্কঃ ১-২ চা চামচ দিনে ২ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। পরিবেশনাঃ ১০০ মিলি, ২০০ মিলি এবং ৪৫০ মিলি পেট বোতলে। প্রস্তুতকারকঃ জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ।