স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা, এটাকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলা হয়। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। একজন পুরুষের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায় যদি তিনি টেস্টোস্টেরন সমৃদ্ধ ঔষধ গ্রহণ করেন। অনেকেই স্বপ্নদোষ নিয়ে অনেক ভয়ে থাকেন। তারা মনে করেন যে, স্বপ্নদোষের ফলে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায় বা দাম্পত্য জীবনে পরিপূর্ণরুপে সুখি হতে পারবে না। যদিও স্বপ্নদোষের অনেক ধরণের ঘরোয়া প্রতিষেধক রয়েছে। তবে স্বপ্নদোষ কোনো শারীরিক ক্ষতি করে না এবং কোনো ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করে না বলে সাধারণত চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয় না। তবে অনেকের অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে করণীয় কি, জেনে নেয়া যাক। গোলমরিচঃ গোলমরিচ এটি লতাজাতীয় উদ্ভিদ, যার ফলকে শুকিয়ে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হলেও এর ভেষজ গুণ কিন্তু কম না। গোলমরিচ শুধু তরকারির স্বাদ বৃদ্ধিই করে না, ইহা রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিষেধকেরও ভূমিকা রাখে। গোলমরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। গোলমরিচ অন্ত্রের হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দিয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে। গোলমরিচে ক্যাপসাইসিন নামের ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার কোষের সম্ভাব্য বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষকদের মতে, মরিচের ঝাল খাওয়ার সময় মানব মস্তিষ্কে সেরোটনিন উৎপন্ন হয়। এ হরমোনটি মন ভালো থাকার সময় আমাদের মস্তিষ্কে নিঃসরণ হয়, বিষন্নতা দূর করতেও ভালো কাজ করে গোলমরিচের ঝাল। ধুতুরাঃ বিশ্বে যতগুলো অপ্রিয় আর অবহেলিত বুনোফুল রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধুতুরা ফুল। ধুতুরা সাধারণ মানুষের কাছে বিষাক্ত ফুল হিসেবেই পরিচিত। অপ্রিয় আর অবহেলিত হলেও ধুতুরার রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। শিয়াল বা কুকুর কামড়ালে ধুতুরার মূল (কাঁচা) দেড় গ্রাম, পূনর্নভার (Boerhaavia repens) কাঁচা মূল ৫ গ্রাম একসঙ্গে বেটে, শীতল দুগ্ধ বা জলের সাথে পান করার কথা বলা হয়েছে। পাতার রস ২/৩ ফোঁটা করে দুধের সঙ্গে খেলে কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। ধুতুরা পাতার রসের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে গরম কালে মালিশ করলে বাতের ব্যাথা কমে যায়। এছাড়াও ধুতুরা বীজ মস্তিষ্কের ওপর কাজ করে। নিজের ওপর আস্থা বাড়াতে, স্নায়ুবিক নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে ধুতুরা বীজের ভূমিকা অনেক। বাবলা গদঃ বাবলা অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদ। বাবলা গদ বা বাবলা গাছের আঠার উপকারীতা অনেক, বীর্য ঘন করতে বিভিন্ন ঔষধে বাবলা গদ ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় শুক্রতারল্য বৃদ্ধি পেলেও ঘন ঘন স্ব্প্নদোষ হয় তাই এর প্রতিকারে বাবলা গদ ভালো ফল দিতে পারে। সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ অথবা ঘুমের ভেতর বীর্যপাতের সমাধান রয়েছে আমাদের হাতের নাগালেই! উপরোক্ত উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একসাথে সেবন করুন। আর এগুলো সংগ্রহ করা যদি ঝামেলা মনে হয়, তবে আজই সংগ্রহ করুন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরিজ এর ‘‘স্পারমোসেফ’’। উপরের উপাদানগুলোর সুষম সমন্বয়ে, জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসরণে তৈরি ‘‘স্পারমোসেফ’’ হতে পারে আপনার অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের ফলে যৌনশক্তি হারাবার ভয় থেকে মুক্তি পাবার উৎস। উপাদানঃ প্রতি ক্যাপসুলে আছে- ফিলফিল সিয়াহ (Piper nigrum)…………..৩০০ মিলি গ্রাম। তোখমে ধুতুরা সিয়াহ (Datura stramonium)………১৫০ মিলি গ্রাম। বাবলা গদ (Acacia arabica)……………………….৫০ মিলি গ্রাম। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। নির্দেশনাঃ অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ, নিদ্রায় বীর্যপাত প্রশমক। সেবনবিধিঃ ১ টি ক্যাপসুল দিনে ২ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। পরিবেশনাঃ প্রতি বক্সে ২০ টি ক্যাপসুল। প্রস্তুতকারকঃ জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ।