প্রতিদিন চুল আঁচড়ানোর পর যখন চিরুনির দিকে তাকান তখন প্রায়ই বুক কেঁপে ওঠে, তাই না? চুল পড়ে যাওয়ার এমন কষ্টে আছেন অনেকেই, যারা অনেক কিছু চেষ্টা করেও চুল পড়া কমাতে পারছেন না। পরিবেশ দূষণ, বয়স, স্ট্রেস, স্মোকিং, পুষ্টির অভাব, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জেনেটিক কারণ, স্কাল্প ইনফেকশন, হেয়ার প্রডাক্টের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, বেশ কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে থাইরয়েড, অটোইমিউন ডিজিজ, অ্যানিমিয়াসহ নানা কারণেই চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। অনিদ্রা সমস্যা? অনিদ্রার সমস্যা কতটা মারাত্নক হতে পারে- সেটা যারা এ সমস্যায় ভুগছেন তারা বেশ ভালো ভাবেই জানেন। রাতে ঘুম না আসা বা মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে আর ঘুম আসে না-এ সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা বলা হয়। রাতের পর রাত এ সমস্যা চলতে থাকলে জটিল ব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত মানসিক চাপ বা দুঃশ্চিন্তার কারণেই মানুষ অনিদ্রায় ভোগেন। ঠিকমতো ঘুম না হলে ওজন কমে যাওয়া, উদ্বেগ, অবসাদ এবং নানা ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। প্রকৃতি সব সময়ই মানুষের প্রতি নিজের প্রাচুর্য দিয়ে দয়া দেখিয়েছে। জেনে নেই কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া, চুলের অকাল পক্কতা, অনিদ্রা দূর করা যায়। আমলকীঃ চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি চুলের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমলকীর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি করে, সেই সঙ্গে স্কাল্পের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায় ফলে চুল পড়ার প্রবণতা কমে যায়। প্রসঙ্গত, দেহে ভিটামিন-সি-এর ঘাটতি দেখা দিলে চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই এই ভিটামিন সি’এর ঘাটতি যেন কখনও না হয় সেদিকে নজর রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রথমে ১ চামচ আমলকীর রসের সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণটি ভালো করে চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিয়ে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। আমলকী চুলকে কালো এবং উজ্জ্বল করে, খুশকি দূর করতেও আমলকীর ভূমিকা অনেক। তিলঃ তিল আমাদের পরিচিত একটি শস্য। নাড়ু, মোয়া ইত্যাদি মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় তিল এছাড়া তিলের তেল আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। তিলের তেল ব্যবহার করা হয় রূপচর্চার ক্ষেত্রেও। প্রতিদিন ভোরে এক চামচ কালো তিল অল্প অল্প করে মুখে দিয়ে মিহি করে চিবিয়ে যখন রসের মতো হয়ে যাবে তখন গিলে খেতে হবে। এই তিল খাওয়ার তিন ঘন্টা পর্যন্ত কিছু খাওয়া যাবে না। এভাবে তিল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিলের তেলের মালিশও করা যায়, তাহলে রোগা থেকে স্বাস্থ্যবান হবেন আর যারা মোটা তাদের মেদ কমে যাবে। অনেকেরই অকালে চুল পেকে যায় এবং দূর্বল হয়ে চুল পড়ে যায়। তাদের এই সমস্যা নিরসনে কালো তিলের প্রয়োজন। এই কালো তিলের তেল প্রয়োগ করলে খুব উপকার পাওয়া যায়। এমনকি চুল গজাতেও সাহায্য করে এছাড়াও তিল শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং সুনিদ্রায় কার্যকর। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, চুল পড়া রোধে, চুলের যত্ন নিতে এবং ভালো ঘুম হবার জন্য যেই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো প্রয়োজন, সেগুলো আছে আমাদের হাতের নাগালেই। সুতরাং উপরোক্ত উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একত্রে ব্যবহার করুন। যদি উপাদানগুলো সংগ্রহ করে, প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করতে ঝামেলা মনে হয়, তবে আজই সংগ্রহ করুন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ এর ‘‘আমলকী কেশ তৈল’’। উপরের উল্লেখিত উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে ও গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসারে তৈরি ‘‘আমলকী কেশ তৈল’’ দিতে পারে আপনার সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং খুশকি মুক্ত ঝলমলে চুল। উপাদান- প্রতি ৫ মিলি তেলে আছে- আমলকী (Phyllanthus emblica)………………১.৬৬ মিলি। তিল তৈল (Sesamun indicum)…………………৩.৩৩ মিলি। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। কার্যকারিতা- চুল পড়া, চুলের অকাল পক্কতা, খুশকি ও অনিদ্রায় কার্যকর। এছাড়াও এটি চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চুলকে কালো ও উজ্বল করে। ব্যবহারবিধি- প্রয়োজনমত তৈল মাথায় ও চুলে ব্যবহার করতে হবে। পরিবেশনা- ২০০ মিলি পেট বোতলে। প্রস্তুতকারকঃ জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ।