কথায় আছে মনের জোর সবচাইতে বড় জোর। মনে জোর থাকলে অনেক কিছুই করে ফেলা সম্ভব। মনের জোরের সাথে আত্নবিশ্বাসের একটি গভীর সংযোগ রয়েছে তাই মানসিক দূর্বলতা ও হতাশা দূর করে ফেলা অনেক জরুরী কিন্তু অনেকেই সহজে নিজের মনকে শক্ত করতে পারেন না। ভিতরে ভিতরে দূর্বলই রয়ে যান, এর প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবন এবং শরীরের উপরে। এর ফলে দেখা দেয় শারীরিক দূর্বলতা, মানসিক অবসাদ, যৌন দূর্বলতা। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নিম্নলিখিত উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারেন। তজ কলমিঃ এটি একটি উপকারী ভেষজ, শারীরিক দূর্বলতা দূর করতে এর পাতা জ্বাল করে নির্যাস বের করে সকাল-বিকাল সেবন করতে পারেন। দারচিনিঃ দারচিনির বহুমুখী উপকারীতা রয়েছে যা হয়তো অনেকেরই জানা নেই, বহু রোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকা অনেক। দারচিনি হজমক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং রুচি বাড়ায়, মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ডের শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি স্নায়ু উদ্দীপনায় সাহায্য করে এবং সাধারণ বল বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। ভৃঙ্গরাজঃ সূর্যোদয়ের পর অনেকের মাথায় যন্ত্রণা হয়, সে ক্ষেত্রে ভৃঙ্গরাজের পাতার গুঁড়ার নস্যি নিলে বা পাতার রস মাথায় দিলে মাথা ব্যাথা উপশম হয়, মানসিক অবসাদ এবং শারীরিক দূর্বলতা দূর করে। আমলকীঃ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই ফলটি দামে যেমন সস্তা, তেমন আছে নানাবিধ উপকারীতা। আমলকী চুলের গোড়াকে মজবুত করে, হজমে সাহায্য করে আর লিভারকে সুস্থ রাখে, মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ঠিক রাখে, ফলে মানসিক কার্যক্রম ঠিক থাকে। পেয়ারাঃ পেয়ারার আছে প্রচুর পুষ্টিগুণ, শুধু ফল না, এর পাতাও অনেক উপকারী। পেয়ারাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-এ, পাকা পেয়ারাতে আছে পটাসিয়াম যা নিয়মিত হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। জৈনঃ জৈন একটি উপকারী ভেষজ, ১-২ গ্রাম জৈন বীজ চূর্ণ সামান্য বিট লবণ মিশিয়ে দিনে ২ বার আহারের পর সেবন করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি ও পেটফাঁপা দূর হয়। জৈন রক্তকে পরিষ্কার করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, জৈন এর পেস্ট দিতে পারে ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি। লবঙ্গঃ লবঙ্গ বায়ুনাশক এবং হজমকারক। লবঙ্গের সুবাস অবসাদ দূর করে এবং শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। জায়ফলঃ জায়ফল সুগন্ধযুক্ত যা খেলে মুখ সুগন্ধিত হয়। জায়ফল ঘষে তার প্রলেপ কপালে লাগালে ঘুম ভাল হয় এবং শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর হয়। কালোজিরাঃ কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়ায়, প্রতিদিন কালোজিরা খাবারে সাথে খেলে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে। মৌরিঃ পানি মিশ্রিত মৌরির রস পেট ফাঁপা ও পেট কামড়ানোর জন্য বড় উপকারী। মৌরি হজমের গোলযোগ ও অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। এলাচঃ দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে এবং ত্বকের ক্ষতি পূরণেও বেশ সহায়ক। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে প্রায় সব সমস্যার সমাধান আর তাই এই উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একসাথে সেবন করুন। যদি এগুলো সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করে খেতে ঝামেলা মনে হয় তবে আপনার নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে আজই সংগ্রহ করুন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ এর ‘‘জিনটরিন’’। উপরের উল্লেখিত উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসারে তৈরি ‘‘জিনটরিন’’ দিতে পারে আপনার সকল সমস্যার কার্যকরী সমাধান। উপাদানঃ প্রতি ৫ মিলিতে জলীয় নির্যাস আকারে আছে- তজ কলমি (Cinnamomum cassia)………….০.০৭৫ গ্রাম। দারচিনি (Cinnamomum zeylanicum)……….০.০৭৫ গ্রাম। ভৃঙ্গরাজ (Eclipta alba……………………………………০.৭৫ গ্রাম। আমলকী (Phyllanthus emblica)……………….০.০৭৫ গ্রাম। পেয়ারা (Psidium guajava)……………………..০.০৭৫ গ্রাম। জৈন (Carum copticum)………………………..০.০৭৫ গ্রাম। লবঙ্গ (Syzygium aromaticum)…………………০.০৭৫ গ্রাম। জায়ফল (Myristica fragrans)………………….০.০৭৫ গ্রাম। মৌরি (Foeniculum vulgare)……………………০.০১৮ গ্রাম। এলাচ (Amomum subulatum)………………….০.০১৮ গ্রাম। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। নির্দেশনাঃ ইহা সাধারণ দূর্বলতা, অবসাদ ও যৌন দূর্বলতায় কার্যকর। সেবনবিধিঃ প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২-৪ চা চামচ দিনে ২-৩ বার। অপ্রাপ্ত বয়স্কঃ ১ চা চামচ দিনে ২-৩ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। পরিবেশনাঃ ১০০ মিলি, ২০০ মিলি এবং ৪৫০ মিলি পেট বোতলে। প্রস্তুতকারকঃ জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ।