স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, শরীরকে ঠিক রাখতে চাইলে প্রথমেই খাদ্যগ্রহণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজের চাপের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারি না। সে কারণে প্রায় ক্ষেত্রেই আমাদেরকে ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদিতে ভুগতে হয়। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারে নিম্নের উল্লেখিত উপাদানগুলো- বেলঃ চৈত্র মাসের প্রচন্ড গরমে আমরা শরীর ও মন দুটোই ঠান্ডা রাখতে চাই। বেলের শরবত শুধু শরীর ঠান্ডাই করে না, এর রয়েছে নানাবিধ উপকারীতা। বেলের পুষ্টিগুণ অন্যান্য ফলের চেয়ে অত্যন্ত বেশি। বেল পেটের নানা অসুখ সারাতে দারুণ কার্যকর, দীর্ঘমেয়াদী আমাশয়, ডায়রিয়া রোগে কাঁচা বেল নিয়মিত খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। বেলের শাঁস পিচ্ছিল বলে এই ফল পাকস্থলীতে উপকারী পরিবেশ সৃষ্টি করে, খাবার সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে। জন্ডিসের সময় পাকা বেল গোলমরিচের সঙ্গে শরবত করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। শিশুদের কানের ব্যাথা ও ইনফেকশন সারাতে গোলপাতার জুড়ি নেই। বেলপাতা ও তিলের তেল জ্বাল দিয়ে ঐ তেল ড্রপার দিয়ে কানে দিলে ব্যাথা সেরে যায়। নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সর্দি হলে বেলপাতার রস এক চামচ খেলে সর্দি ও জ্বরভাব কেটে যায়। কুড়চিঃ কুড়চি একটি উপকারী ভেষজ উদ্ভিদ, এর ছাল বহু রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ৫ গ্রাম কুড়চি ছাল ২ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে, আধা কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে দিনে ২ বার এই পানি পান করলে আমাশয় রোগে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও ডায়রিয়া হলে কুড়চি ছাল ভেজানো পানি খেলে বার বার পানির পিপাসা পাওয়া কমে আসে এবং পানি শূণ্যতা রোধ করে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, ডায়রিয়া, আমাশয় হলে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই কারণ এগুলো থেকে মুক্তির উপায় আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে। উল্লেখিত উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একত্রে সেবন করতে পারেন আর এই উপাদানগুলো সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করে সেবন করতে যদি ঝামেলা মনে হয় তবে আপনার নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে আজই নিয়ে নিন-জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ’র ‘‘জেবিএল বেলগিরী’’। উপরে উল্লেখিত উপাদানগুলোর সুষম সমন্বয়ে জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসরণ করে তৈরি ‘‘জেবিএল বেলগিরী’’ হতে পারে আপনার ডায়রিয়া, আমাশয় থেকে মুক্তির কার্যকরী সমাধান। উপাদানঃ প্রতি ৫ মিলিতে জলীয় নির্যাস আকারে আছে- বেলের মজ্জা (Angle marmelos)……১.০ গ্রাম। কুড়চি ছাল (Holarrhena antidysenterica)…….০.৫ গ্রাম। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। নির্দেশনা- ডায়রিয়া,আমাশয় ও অতিরিক্ত পিপাসা। সেবনবিধি- প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২-৪ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার। অপ্রাপ্ত বয়স্কঃ ১ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। পরিবেশনা- ১০০ মিলি এবং ২০০ মিলি পেট বোতলে। প্রস্তুতকারকঃ জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ।