মানবেদেহ সচল রাখতে শক্তির প্রয়োজন রয়েছে আর এই শক্তির যোগান দেয় খাবার তাই অরুচি বা ক্ষুধামন্দা হলে প্রথমেই বুঝতে হবে যে হজমের গোলযোগ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে হজম সম্পর্কিত শরীরের একাধিক অঙ্গ হয়তো ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না আর এটাকে মোটেও হালকাভাবে নেয়া ঠিক নয়। আবার মাথা ব্যাথা হলে, শরীর ঝিম ঝিম করলে, কিংবা কোনো কারণে শরীর খারাপ লাগলেই যে ডাক্তার এর কাছে দৌঁড়ে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অনেক সময় কাজের মাঝে কিংবা অযথাই শরীরের উপর ভর করে রাজ্যের ক্লান্তি এবং দূর্বলতা। সারাক্ষণ শুধু ঘুম ঘুম ভাব লেগে থাকে। এই ধরণের শারীরিক দূর্বলতা কাটাতে প্রয়োজন আমাদের একটু সতর্কতা। আবার দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপে আপনি কি প্রায়ই এটা-সেটা ভুলে যাচ্ছেন বা আপনার স্মৃতিশক্তি দূর্বল হয়ে পরছে? এর পরিণাম কিন্তু হতে পারে ভয়াবহ। সেক্ষেত্রে সকল প্রকার শারীরিক দূর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া-এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে জেনে নেই কিছু টিপস।। আমলকীঃ আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য সবচাইতে উপকারী ভেষজের মাঝে একটি। এটি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বরং আছে দারুণ সব উপকার। প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে, খেতে পারেন একটি করে আমলকী কিংবা আমলকীর আচার অথবা আমলকীর মোরব্বা কিংবা আমলকীর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়। এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে। এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার খেলে হজমে সাহায্য করে। আমলকীর টক ও তেতো স্বাদ মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে, খাওয়ার আগে খেতে পারেন। এছাড়াও আমলকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মানসিক চাপ কমায়, মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে এবং স্মরণশক্তি বাড়ায়। পিঁপুলঃ পিঁপুল খুবই পরিচিত একটি লতানো উদ্ভিদ এর ঔষধি গুণ অনেক। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক, ক্ষুধা বৃদ্ধিকারক এবং টনিকের গুণসম্পন্ন তাই বদহজমে এবং ক্ষুধা বর্ধক হিসেবে পিঁপুলের গুরুত্ব অপরিসীম। গোলমরিচঃ গোল মরিচ এটি লতাজাতীয় উদ্ভিদ যার ফলকে শুকিয়ে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হলেও এর ভেষজ গুণ কিন্তু কম না। গোল মরিচ শুধু তরকারির স্বাদ বৃদ্ধিই করে না, ইহা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গোলমরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। গোলমরিচ অন্ত্রের হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দিয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে। গোলমরিচে ক্যাপসাইসিন নামের ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার কোষের সম্ভাব্য বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দেখা দেওয়া নানা সমস্যাগুলো সমাধানের উপায় রয়েছে আমাদের হাতের নাগালেই। তাই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে উক্ত উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একসাথে সেবন করুন আর যদি এগুলো সংগ্রহ করে খেতে ঝামেলা মনে হয়, তাহলে আজই আপনার নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে সংগ্রহ করে নিন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ এর ‘‘জেবিএল আমলা’’। উপরের উল্লেখিত উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসারে তৈরি ‘‘জেবিএল আমলা’’ দিতে পারে আপনার শারীরিক দূর্বলতা থেকে মুক্তি, হজমের সমস্যার সমাধান এবং হতে পারে আপনার ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের উৎস। উপাদানঃ প্রতি ৫ মিলিতে জলীয় নির্যাস আকারে আছে- আমলকী (Phyllanthus emblica)………….০.৫ গ্রাম। পিঁপুল (Piper longum)…………………….০.১ গ্রাম। গোলমরিচ (Piper nigram)…………………০.০৫ গ্রাম। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। নির্দেশনাঃ সাধারণ দূর্বলতা, স্নায়ুবিক দূর্বলতা, পরিপাকতন্ত্রের দূর্বলতা, স্মরণশক্তির দূর্বলতায় কার্যকর, ক্ষুধামন্দা দূর করে, ভিটামিন-এ এবং সি এর অভাব পূরণ করে। সেবনবিধিঃ প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২-৩ চা চামচ দিনে ১-২ বার। অপ্রাপ্ত বয়স্কঃ ১-২ চা চামচ দিনে ১-২ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। পরিবেশনাঃ ১০০ মিলি, ২০০ মিলি এবং ৪৫০ মিলি পেট বোতলে। প্রস্তুতকারকঃ জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ।