জীবনে বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত হল সুস্থতা, দেহের সুস্থতার বহিঃপ্রকাশ হল সুন্দর স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, শরীর ঠিক না থাকলে মনও ভালো থাকে না আর মন ভালো না থাকলে কোন কাজে মনঃসংযোগ করা যায় না। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সব কাজে স্বাস্থ্যের সুস্থতাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। শরীরকে ঠিক রাখতে চাইলে খাদ্যগ্রহণ থেকে শুরু করে হাঁটা-চলা, ঘুম এমনকি নিজের কতগুলো অভ্যাসের দিকেও নজর রাখতে হয় যেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা কাজের চাপের কারণে মেনে চলতে পারি না তাই প্রায় ক্ষেত্রেই অমাদেরকে নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়। যেই শারীরিক সমস্যাগুলোতে আমরা প্রায়ই ভুগে থাকি এগুলোর মধ্যে খাদ্যগ্রহণে অরুচি, রক্তস্বল্পতা, কোষ্ঠ-কাঠিন্য, প্রস্রাবের সমস্যা, যকৃতের নানা রোগ ইত্যাদি বেশি দেখা যায়। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তির উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক। ধনিয়াঃ ধনিয়া হৃদপিন্ডের শক্তি বাড়ায়, পেট ফাঁপা দূর করে। ধনিয়া বীজ সেদ্ধ করে পানি দিয়ে কুলকুচা করলে মুখের আলসার কমাতে সাহায্য করে, এছাড়াও ধনিয়া বীজে আছে-আয়রন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-সি এবং ফলিক এসিড-যা অনেক ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যার নিরাময় করতে পারে। গোলাপ ফুলঃ গোলাপ কে বলা হয় ‘‘ফুলের রানী’’, গোলাপ ফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীকই নয় বরং এর রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। গোলাপ ফুলের রস হৃদযন্ত্রের শক্তিবর্ধন করে, স্নায়ুবিক দূর্বলতা ও মস্তিষ্কের দূর্বলতা দূর করতেও গোলাপের ভূমিকা অনন্য। মুখের রুচি আনতে গোলাপের রস ভালো কাজ করে এছাড়াও যকৃতের দূর্বলতার জন্যে হজমে কোন সমস্যা থাকলে তা দূর করে। শাপলাঃ একটি জনপ্রিয় সবজি এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। শাপলা মস্তিষ্ক শীতলকারক এবং মূত্রকারক, চর্ম চিকিৎসায় ও রক্ত আমাশয়ে বেশ উপকারী। এতে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম এছাড়াও এই ফুলের ডাটা তরকারি হিসেবেও খাওয়া যায়। গাওজবানঃ গাওজবানের ফুল ভেজানো পানি নিয়মিত পান করলে হৃদপিন্ডের দূর্বলতা দূর হয়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে আর দৈনন্দিন কাজগুলো সঠিকভাবে করতে যেই খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন, সেগুলো আছে আমাদের হাতের নাগালেই। এই উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একসাথে সেবন করুন আর যদি এগুলো সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করে খেতে ঝামেলা মনে হয় তবে আপনার নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে আজই সংগ্রহ করুন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ এর ‘‘জেবিডিন’’। উপরের উল্লেখিত উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসারে তৈরি ‘‘জেবিডিন’’ দিতে পারে আপনার সুস্থ, সুন্দর এবং ভাবনাহীন জীবন। উপাদান- প্রতি ৫ মিলিতে নির্যাস আকারে আছে- ধনিয়া (Coriandrum sativum)……২০০ মিগ্রাঃ। গোলাপ (Rosa damascene)……২০০ মিগ্রাঃ। শাপলা ফুল (Nymphaea alba)……১০০ মিগ্রাঃ। গাওজবান (Borago officinalis)….১০০ মিগ্রাঃ। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। নির্দেশনা- ইহা যকৃত প্রদাহ, জরায়ুর প্রদাহ, প্রতিবন্ধকতাজনিত জন্ডিস, ফুসফুসের আবরক ঝিল্লীর প্রদাহ ও কোষ্ঠ-কাঠিন্যে বিশেষ কার্যকর। সেবনবিধি- প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২-৪ চা চামচ দিনে ২-৩ বার আহারের পর। অপ্রাপ্ত বয়স্কঃ ১ থেকে ২ চা চামচ করে দিনে ২ বার আহারের পর অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। পরিবেশনা- ১০০ মিলি, ২০০ মিলি এবং ৪৫০ মিলি পেট বোতলে। প্রস্তুতকারক- জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ।