স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। শরীর সুস্থ তো মন-মেজাজও থাকে ফুরফুরে কারণ শরীর ঠিক না থাকলে মনও ভালো থাকে না, আর মন ভালো না থাকলে কোন কাজে মনঃসংযোগ করা যায় না। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সব কাজে স্বাস্থ্যের সুস্থতাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। শরীরকে ঠিক রাখতে চাইলে খাদ্যগ্রহণ থেকে শুরু করে হাঁটা-চলা, ঘুম এমনকি নিজের কতগুলো অভ্যাসের দিকেও নজর রাখতে হয় যেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বিভিন্ন কাজের চাপের কারণে নিয়মমাফিক মেনে চলতে পারি না, সে কারণে প্রায় ক্ষেত্রেই আমাদেরকে নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়। যেই শারীরিক সমস্যাগুলোয় আমরা প্রায়ই ভুগে থাকি, এগুলোর মধ্যে খাদ্যগ্রহণে অরুচি, রক্তস্বল্পতা, হজমের গোলযোগ ইত্যাদি বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশের মা-বোনেরা রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকে। লিঙ্গ বৈষেম্যের জন্য ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পুষ্টিকর খাবারগুলো কম দেওয়া, মেয়েদের নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীনতা, ঋতুস্রাব ইত্যাদি নানা কারণে মেয়েরা রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকে। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তির উপায় কি? জেনে নেয়া যাক কিছু উপায়। গোলাপ ফুলঃ গোলাপ কে বলা হয় ‘‘ফুলের রানী’’। গোলাপ ফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীকই নয় বরং এর রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। গোলাপ ফুলের রস হৃদযন্ত্রের শক্তিবর্ধন করে, স্নায়ুবিক দূর্বলতা ও মস্তিষ্কের দূর্বলতা দূর করতেও গোলাপের ভূমিকা অনন্য। মুখের রুচি বাড়াতে গোলাপের রস দিতে পারে সমাধান। এছাড়াও যকৃতের দূর্বলতার জন্যে হজমে কোন সমস্যা থাকলে তা দূর করে। মৌরিঃ পানি মিশ্রিত মৌরির রস পেট ফাঁপা ও পেট কামড়ানোর জন্যে বড় উপকারী। মৌরি হজমের গোলযোগ ও পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এছাড়াও মৌরিতে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং আয়রন যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। আয়রনঃ আয়রন বা লৌহ আমরা বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে পেতে পারি। আয়রন আমাদের শরীরের লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে ভূমিকা রাখে। কচুশাক, কাঁচাকলা, ডালিম, মৌরি ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় এবং রক্তস্বল্পতা পূরণ করতে সহায়তা করে। সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে আমরা যেসব অসুখ-বিসুখের মুখোমুখি হই, সেগুলো থেকে মুক্তির উপায়ে রয়েছে আমাদের হাতের নাগালেই। নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং হজম শক্তি ঠিক রাখতে, মুখে রুচি বাড়াতে আর রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি পেতে উল্লেখিত উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একত্রে সেবন করতে পারেন আর এই উপাদানগুলো সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করে সেবন করতে যদি ঝামেলা মনে হয় তবে আপনার নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে আজই নিয়ে নিন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরিজ এর ‘‘হিমু এক্সট্রা’’। বিশেষ করে মা-বোনদের জন্য ‘‘হিমু এক্সট্রা’’ খুবই উপকারী একটি ঔষধ হিসেবে কাজ করে। উপরে উল্লেখিত উপাদানগুলোর সুষম সমন্বয়ে, জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসরণ করে তৈরি ‘‘হিমু এক্সট্রা’’ হতে পারে আপনার রোগমুক্ত এবং সুঠাম স্বাস্থ্যের গোপন রহস্য। সুতরাং হিমু এক্সট্রা খান, অরুচি, পেট ফাঁপা আর রক্তস্বল্পতার হাত থেকে পরিবারকে রক্ষা করুন। উপাদানঃ প্রতি ৫ মিলিতে জলীয় নির্যাস আকারে আছে- মৌরি (Foeniculum vulgare)……3.00 মি.লি.। গোলাপ (Rosa damascene)….১ মি.লি.। আয়রন (Ferrous Sulphate)…..০.৭৫ গ্রাম। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। নির্দেশনাঃ ইহা রক্তস্বল্পতা, ক্ষুধামন্দা, যকৃতের দূর্বলতায় ফলপ্রদ। সেবনবিধিঃ ১-২ চা চামচ দিনে ২-৩ বার খাওয়ার পর অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। পরিবেশনাঃ ১০০ মিলি, ২০০ মিলি এবং ৪৫০ মিলি পেট বোতলে। প্রস্তুতকারকঃ জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ