‘‘পরিমিত খাবার খাবেন প্রতিদিন, হজম করবে জেবিএল’ এর ডিজমিন।’’

18th Aug 2018

মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার ভেতর সর্বপ্রথম চাহিদাটি হচ্ছে-অন্ন অর্থাৎ খাদ্য। জীবন ধারণের জন্য চাই খাদ্য তবে বেঁচে থাকতে গেলে যেকোনো খাবার খেলেই চলে না। খেতে হয় ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য, যা খেলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, শরীরের কার্যকলাপ ঠিকভাবে চলবে, শরীরের ক্ষয় পূরণ করবে-এমন খাবার গুলোই রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। সঠিকভাবে খাবার খেলেও মাঝে মাঝে দেখা দেয় নানা বিপত্তি! অনেকেই আছেন যারা খাবার ভালোভাবে হজম না হওয়া, পেট ফাঁপা, বায়ুজনিত পেট ব্যাথা, ডায়রিয়া, অজীর্ণতা, যকৃতের দূর্বলতা, কোষ্ঠ-কাঠিন্য ইত্যাদি নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। এগুলো থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই অনেক ঔষধ খেয়েছেন, অনেক টাকাও খরচ করেছেন। কিন্তু এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তির সঠিক উপায় কি? আপনারা সবাই হয়তো জানেন যে, প্রাচীনকালে যখন ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি তখন বিভিন্ন গাছ-গাছড়া আর লতা-পাতাই ছিল একমাত্র ভরসা। আর এই গাছ-গাছড়া, লতাপাতা গুলো ছিল ঔষধি গুণ সম্পন্ন। জেনে নেয়া যাক কিছু উপকারী ভেষজ উপাদান সম্পর্কে। নিমঃ নিম একটি অতি পরিচিত ঔষধি গাছ এর ডাল,পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিমপাতার অনেক গুণ, এটি কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। নিমপাতার নির্যাসে ম্যালেরিয়া প্রশমিত হয়, রূপচর্চায়ও নিমপাতার ভূমিকা কম না। নিমের ছাল অজীর্ণ রোগে উপকারী, এক গ্রাম নিমের ছাল, এক গ্রাম আমলকী গুঁড়া, আধা গ্রাম হলুদ সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে যকৃতের ব্যাথা উপশম হয়। ডালিমঃ ডালিমের অন্য নাম আনার বাংলাদেশের কোথাও কোথাও বেদানা নামেও পরিচিত। ডালিমকে বলা হয় স্বর্গীয় ফল আপেলের মত ডালিমও রোগীর উপকারী ফল হিসেবে পরিচিত। এই ফল কোষ্ঠ-কাঠিন্যের রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এর গাছের শিকড়, ছাল ও ফলের খোসা দিয়ে আমাশয় ও ডায়রিয়া রোগের ঔষধ তৈরী হয়। এছাড়াও ডালিম রুচিবর্ধক হিসেবেও ভালো কাজ করে। মৌরিঃ মৌরি হজমকারক অর্থাৎ হজমশক্তিতে মৌরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর ফলে খাবার গ্রহণের চাহিদা বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ খাবারের প্রতি রুচির কারণে ক্ষুধা বাড়ে। পানিমিশ্রিত মৌরির রস পেট ফাঁপা ও পেট কামড়ানোর জন্য বড়ই উপকারী, মৌরি অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়। পুদিনাঃ পুদিনা একটি সাধারণ আগাছা ধরণের গাছ। ভেষজ গুণসম্পন্নও বটে। পুদিনার পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা যায়। পুদিনার পাতায় থাকা মেন্থল পাকস্থলীর পরিপাক ক্রিয়া ঠিক রাখে। যেকোনো কারণে পেটে অ্যাসিডিটি হলে পুদিনা পাতার রস হালকা গরম পানির সাথে ২/৩ বার খেলে অ্যাসিডিটি কমে আসে। কোষ্ঠ-কাঠিন্যের কারণে মুখে অরুচি হলে পুদিনা পাতার রস ৩ চা চামচ, ৮/১০ ফোঁটা লেবুর রসের সাথে হালকা গরম পানি দিয়ে খেলে মুখের রুচি ফিরে আসে। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে প্রায় সব সমস্যার সমাধান। শুধু চাই সচেতনতা আর সঠিক জ্ঞান। আমরা যদি সঠিক খাদ্য এবং পথ্য নির্বাচন করতে পারি, তাহলেই দৈনন্দিন জীবনের এই সমস্যাগুলো থেকে পেতে পারি সহজ সমাধান। তাই এই উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একসাথে সেবন করুন আর যদি এগুলো সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করে খেতে ঝামেলা মনে হয়, তবে আপনার নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে আজই সংগ্রহ করুন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ এর ‘‘ডিজমিন’’। উপরে উল্লেখিত উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসারে তৈরী ‘‘ডিজমিন’’ দিতে পারে আপনার পাকস্থলীর সুরক্ষা এবং সকল সমস্যার কার্যকরী সমাধান। উপাদানঃ প্রতি ৫ মিলিতে নির্যাস আকারে আছে- নিম (Azadirachta indica)………….০.৫০ গ্রাম। ডালিম (Pomgranate)………………০.২৫ গ্রাম। মৌরি (Coriandrum sativum)………০.২৫ গ্রাম। পুদিনা (Mentha piperita)……………০.২৫ গ্রাম। অন্যান্য উপাদান পরিমাণমত। নির্দেশনাঃ অম্লাধিক্য, অজীর্ণ, ক্ষুধামন্দা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠ-কাঠিন্য, বায়ুজনিত পেট ব্যাথা, পাকস্থলীর দূর্বলতা এবং লিভারের দূর্বলতায় কার্যকর। সেবনবিধিঃ প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২-৪ চা চামচ দিনে ২-৩ বার। অপ্রাপ্ত বয়স্কঃ ১ চা চামচ দিনে ২-৩ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। পরিবেশনাঃ ১০০ মিলি, ২০০ মিলি এবং ৪৫০ মিলি পেট বোতলে। প্রস্তুতকারকঃ জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) গাজীপুর, বাংলাদেশ।